ভোলা, জেলা প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে একটি পুকুর জবরখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওমর সিরাজী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওমর সিরাজী ওই এলাকার মো. আবুল কাশেমের ছেলে। শুধু তাই নয়, জবরদখলে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ও রয়েছে ওমর সিরাজী এবং তার লোকজনের বিরুদ্ধে। ওমর সিরাজী ও তার লোকজন কর্তৃক হামলার শিকার হয়ে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি লালমোহন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন একই এলাকার মো. সুলতান আহমদের ছেলে মো. নুরুল আমিন। ভুক্তভোগী মো. নুরুল আমিন জানান, লালমোহন মৌজার জেএল নং ১৮ এর এসএ ১৪০ নং খতিয়ানের ৭২৪ নং দাগে একটি পুকুর রয়েছে। যাতে আমার পিতার ওয়ারিশ ও খরিদা সূত্রে মালিকানা রয়েছে। আমাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে একত্রিত হয়ে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে ওমর সিরাজী। কিন্তু গত ১৯ জানুয়ারি আমাদেরকে না জানিয়ে ওমর সিরাজী ও তার লোকজন পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। বাঁধা দিতে গিয়ে তাদের হামলার শিকার হয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছি। তবুও জবরদখলকারীরা থেমে নেই। সুযোগ পেলেই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লোকজন নিয়ে পুকুর জবরদখলের চেষ্টা চালায়। গত ২৩ এপ্রিল তাদেরকে মাছ ধরায় বাঁধা দিতে গেলে আমার স্ত্রী খায়রুন বেগমের ভিডিও করে নোংরা ভাষা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে ওমর সিরাজী ও তার লোকজন। তাই শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মো. নুরুল আমিন। এদিকে পুকুর জবরদখলের বিষয়ে জানতে ওমর সিরাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, আমার কাছে এখনো এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।